এই মাহফিলে খ্যাতনামা ক্বারি সূরা সাফফাতের ৯৯ থেকে ১১১ আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করেছেন।
وَقَالَ إِنِّی ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ
এবং সে বলল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের দিকে চললাম, অচিরেই তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন,
رَبِّ هَبْ لِی مِنَ الصَّالِحِينَ
(এবং বলল,) হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এক সৎকর্মশীল (সন্তান) দান কর।’
فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ
সুতরাং আমি তাকে এক ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ
অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে শ্রম দেওয়ার উপযুক্ত হল তখন সে (ইবরাহীম) বলল, ‘হে বৎস! নিশ্চয় আমি স্বপ্ন দেখছি যে, তোমাকে আমি জবেহ করছি, এখন তুমি দেখ, তোমার অভিমত কী?’ সে বলল, ‘হে পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তার ওপর কর্মরত হোন; আল্লাহ ইচ্ছা করলে অচিরেই আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’
فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ
অতঃপর যখন উভয়ে (আদেশ) শিরোধার্য করল এবং সে (পিতা) তাকে (পুত্রকে) কপালের ওপর উপুড় করে শায়িত করল,
وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ
(তখন) আমরা তাকে আহ্বান করে বললাম, ‘হে ইবরাহীম!
قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
নিঃসন্দেহে তুমি তোমার স্বপ্ন সত্যে পরিণত করেছ’; এরূপে আমরা পুণ্যকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি।
إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ
নিশ্চয় এটা (তোমার জন্য) প্রকাশ্য পরীক্ষা ছিল;
وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ
এবং আমি এর পরিবর্তনস্বরূপ এক মহাকুরবানীকে সাব্যস্ত করেছি,
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
এবং তার স্মরণকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বিদ্যমান রেখেছি।
سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ
ইবরাহীমের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।
كَذَلِكَ نَجْزِی الْمُحْسِنِينَ
এরূপেই আমরা পুণ্যকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি।
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
নিশ্চয়ই সে আমাদের বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
4076762